২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪৪

৪ দফা দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন

সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন  © সংগৃহীত

চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যশোর থেকে পাঁচ বান্ধবীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন শ্রাবণী। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদের পরীক্ষার একদিন আগে এ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে শ্রাবণী বলেন, গত ৫ দিন ঘোরাফেরা করেও আমরা ট্রেনের টিকিট পাইনি। পরে আমরা এক প্রকার ট্রেনে ঝুলে ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। অথচ গতকাল হঠাৎ করে আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা যারা বেকার আছি তাদের কথা একবার চিন্তা করেন, আমরা কতো কষ্টে আছি। 

আরও পড়ুন: অর্থাভাবে ঢাবিতে ভর্তি হতে না পারা রঞ্জনের পাশে বেনজীরের স্ত্রী

এ চাকরিপ্রত্যাশী আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কি আমাদের এ কষ্টের অবস্থা দেখছেন না? তারা এর মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তামাশা করছে। আবার একদিনে ২১টা পরীক্ষাও হচ্ছে। আমাদের পক্ষে কি এত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্ভব? আমাদের কথা শোনার জন্য কি কেউ নেই?

মানববন্ধনে চারটি দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো-সকল চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও লিখিত) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণ করাতে হবে এবং একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: তিন মাসের কমিটিতে ২ বছর পার

মানববন্ধনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. মানিক হোসেন রিপন বলেন, প্রশ্নফাঁস একটি হাস্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আমাদের মতো বেকার যুবকের জন্য খুবই কষ্টের। আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি চাই। আমরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রশ্নফাঁসের তীব্র নিন্দা জানাই। যেসময় আমাদের বেকারদের অস্তিত্ব সংকটে সেসময় চাকরিতে আবেদন ফি এক থেকে দুই হাজার নির্ধারণ করা কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবেনা।