লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: বিআইডব্লিউটিএ’র একজন, নৌপরিবহন অধদফতরের একজন, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকের পাতায় পাতায় সমাজসেবার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ টার্মিনালের দূরবর্তী দিয়াকুল এলাকায় এলে ঘটনাটি ঘটে। লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমের কাছে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন যাত্রী।
আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন, ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, ঢাকা থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান-১০ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে লঞ্চে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।