স্বাধীনতা দিবসের আগেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
এসময়, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরিতে কাজ চলছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা যেসব তালিকা পেয়েছি, সেগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। অনেক আবেদন আছে, সেগুলোর যথার্থতা নিরূপণে স্ব-স্ব উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেগুলো ফেরত পেতে কিছুটা সময় লাগছে। ফেরত পেলে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা আশা করছি, আগামী ২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারবো।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বর্তমানের মেরুদণ্ডহীন সমাজ
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুরো জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে আজ থেকে ৫০ বছর আগে হানাদাররা ঠিক বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সুপরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল। ওই খুনিরা মনে করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন দেশটা মেধাশূন্য থাকে, এই রাষ্ট্রটি যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়- সেজন্যই সুপরিকল্পিতভাবে তারা বুদ্ধিজীবীদের; যারা শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আজকে সেই হত্যাকারীরা, যারা আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, বিভিন্ন দেশে তারা পালিয়ে আছে। রাজনৈতিক আশ্রয়ের নামে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এখনও বিভিন্ন দেশে রয়েছে। বিশেষ করে যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছিল সেইসব রাষ্ট্রে তারা পালিয়ে আছে। কূটনৈতিকভাবে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, আমাদের সরকার এসব খুনি, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরি করছে সরকার। এরই মধ্যে ১৯১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন করে আরও শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলোও যাচাই-বাছাই করে আগামী বছরের ২৬ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।