দুই বোনকে এখনই আলাদা করা সম্ভব নয়: চিকিৎসক
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জোড়া লাগা দুই বোন লাবিবা-লামিসাকে এখনই আলাদা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
এদিকে দুই বোনের প্রজনন অঙ্গ ও মলদ্বার খুব কাছাকাছি থাকায় একটি শিশুর শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। ১২ ঘণ্টা ধরে তাদের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। কিন্তু সাড়ে চার ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা জানান, শিশু দুটিকে এখনই আলাদা করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে পা দিল জোড়া থেকে আলাদা হওয়া সেই মনি-মুক্তা
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান আশরাফ-উল-হক কাজলের নেতৃত্বে ৪০ চিকিৎসক অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। তিনি বলেন, দুই শিশুর শরীরে ত্বকের নিচে বিশেষ টিস্যু সম্প্রসারণ বল বসানো হয়েছে। টিস্যু সম্প্রসারণ বল হচ্ছে বিশেষ ধরনের সিলিকন বল। স্যালাইন পুশ করে এ বল বড় করা হবে। এটি শিশুদের ত্বকের সম্প্রসারণের কাজ করবে। এতে যোনিদ্বার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। সাত থেকে আট সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার পর নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে বলে তারা জানান।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদী নুসরাতকে নিয়ে তারানা হালিমের আবেগঘন স্ট্যাটাস
তিনি আরও জানান, নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচার শেষ করতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছয় থেকে আট সপ্তাহ শিশুদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রির সহকারী লাল মিয়া ও মনুফা আক্তার দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করে লাবিবা ও লামিসা।