ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: বাংলাদেশ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে

  © সংগৃহীত

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দিক পাল্টে উত্তর দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গভীর রাত থেকে আগামীকাল সকালের মধ্যে এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, ঝড়টি এখন যে অবস্থায় আছে, আমরা ধারণা করছি শনিবার দিবাগত গভীর রাত কিংবা আগামীকাল সকালের মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবার সকালে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শনিবার উত্তর অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় ঝড়ের তাণ্ডব থেকে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা শ্রীকাকুলাম থেকে ১৫ হাজার ৭৫৫ জন, ভিজিয়ানগরামের ১ হাজার ৭০০ এবং বিশাখাপত্তনম থেকে সাড়ে ৩৬ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ