নেই এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদও
হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে ‘ইচ্ছেমতো’ শিক্ষক নিয়োগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৯ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:০২ PM
রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে ‘ইচ্ছেমতো’ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ না থাকলেও মিলেছে শিক্ষকতার সুযোগ। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও বাদ পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রমাণও পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু বক্কর চৌধুরীর মেয়াদকালে (২০০১-২০১৯) এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এস এম বাহালুল মজনু। কলেজটিতে শিক্ষক রয়েছেন ১৪৩ জন। এর মধ্যে ৭৪ জন শিক্ষক এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। গত জুলাই মাসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তারা জমা দিয়েছে ডিআইএ।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলাম ২০১৩ সালে যোগ দেন। এই নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগের সময় ডিজির কোনো প্রতিনিধিও ছিল না। ২০১৬ সালে একই বিভাগের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রভাষক নিয়োগের কথা বলা হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে। এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগও বিধিসম্মত হয়নি। হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৭ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তিনজন নিয়োগের কথা বলা হলেও পরীক্ষা শেষে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। কিন্তু পরিচালনা কমিটি ছয়জনকে নিয়োগের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানেও প্রথম স্থান অধিকার করা প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়।
ডিআইএ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে পরিসংখ্যান বিভাগে ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পরীক্ষায় মাউশির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। একই ঘটনা ঘটেছে প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগেও। এ বিভাগে নিয়োগ পাওয়া শারমীন সুলতানার এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদ নেই।
২০১৬ সালে ইংরেজি বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম ও চতুর্থ স্থান অধিকারীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয় পরিচালনা কমিটি। এই দুইজনেরই নিবন্ধন সনদ নেই। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে মার্কেটিং বিভাগ, ফিন্যান্স বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের ক্ষেত্রেও।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ জব্বার মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো আগের অধ্যক্ষের আমলে। তবে ডিআইএর প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।