পরিবারের দাবি, কুয়েট শিক্ষক সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা শুকুর আলী। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামের নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেন।
সেলিমের বাবা শুকুর আলী জানান, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ভয়ে ওর স্ত্রী কিছু বলছিলো না। এখন বলছে মেরে ফেলেছে। দাফনের পর কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক বলে যে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা ঠিক হয় নাই। ঘাপলা আছে। এরপর আমি খোঁজ-খবর নেই। তাতে মনে হয়েছে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
সেলিমের বড় ভাই ফরিদ আহমেদ বলেন, সেলিমের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি বলে আমার সন্দেহ। সবাই কেমন যেন লুকোচুরি করছে। ঠিকমতো তদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তীতে আমারা আইনি সহায়তা নেবো।
ওই শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, বাসায় ফেরার পর সেলিম বাথরুমে যান। বের হতে দেরি হওয়ায় তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন যে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন সেলিম। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৩০ নভেম্বের বিকেলে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়। এরপরই অভিযোগ ওঠে কিছু ছাত্রের লাঞ্ছনা ও অপদস্তের শিকার হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সেলিম। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।