ব্যাংকে বড় চাকরির স্বপ্ন ছিলো দুর্জয়ের
রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাইনুদ্দিনের স্বপ্ন ছিলো ব্যাংকের বড় চাকরি করার। সেজন্য টানাপোড়েনের সংসারে সাত হাজার টাকায় হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে চাকরি হলেও ফিরিয়ে দেন তিনি। মাকে বলেন, ভালো কলেজে ভর্তি করে দিও। এখানে চাকরি করলে ব্যাংকের বড় চাকরি করা হবে না কোনো দিন। ছেলের কথা শুনে বাবাও বলেছিলেন, প্রয়োজনে সবকিছু বিক্রি করে হলেও পড়াবেন তাকে। ছেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার এসব কথা বলছিলেন মা রাশেদা বেগম।
২৯ ডিসেম্বর রাত ১০টায় রামপুরায় বাসের চাকায় পিষ্ট সে স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে রামপুরায় প্রথম জানাজা এবং পরে বাদ এশা সরাইল উপজেলা সদরের বৈকালবাজার হাটখোলা জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানে নানা-নানির কবরের পাশে মাইনুদ্দিনকে দাফন করা হয়।
রাশেদা বেগম ও আবদুর রহমান দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন মাইনুদ্দিন। বড় দুই সন্তান এসএসসির গণ্ডি পেরুতে না পারলেও মাইনুদ্দিন ভালো ফল করেই এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। তাকে নিয়ে পরিবারের স্বপ্নও ছিলো বড়।
পড়ালেখার পাশাপাশি তিতুমীর সড়কের ভাড়া বাসার একটু দূরেই নিজেদের দুই ফুট বাই চার ফুট দোকানেও দুপুরবেলা সময় দিত মাইনুদ্দিন।
মাইনুদ্দিনের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসীও। সবার চোখেমুখেই যেন স্বজন হারানোর বেদনা।