রামপুরায় বাস ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
গ্রিন অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় সোমবার রাতে রামপুরা বাজারের সামনে প্রাণ হারান আরেক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেন। এই ঘটনায় রামপুরা থানায় ২টি মামলা করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে রাজধানীর রামপুরায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তার মা রাশিদা বেগম। মঙ্গলবার নিরাপদ সড়ক আইন-২০১৮’তে মামলাটি করেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলায় ঘাতক অনাবিল বাসের চালক সোহেল এবং হেলপার চাঁদ মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি জানান, শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনার জেরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। সেই ঘটনায় অজ্ঞাত আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।