অভিনেতা তৌসিফের গাড়ি আটকে দিলো শিক্ষার্থীরা (ভিডিও)
হাফ পাশসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীতে পরপর গাড়ি চাপায় দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে এ আন্দোলন চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় নেমে শিক্ষার্থীরা গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে। ফিটনেসবিহীন পরিবহন পেলেই তাদের গাড়ি আটকেও দিচ্ছে। পুলিশ এসে মামলা নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চান তারা। গাড়িতে ছিলেন তৌসিফের মা ও স্ত্রী। পরে তৌসিফ লাইসেন্স দেখানোর পরেও শিক্ষার্থীরা তর্কাতর্কি করে যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে তৌসিফ গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে তৌসিফ মাহবুব বলেন, ‘আমি সবসময়ই শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি। ২০১৮ সালে যখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিলেন তখন আমিও তাদের পাশে ছিলাম, তাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছিলাম। তখনকার আন্দোলনটা বেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্ত এবার মনে হয়েছে তারা একটু বেশিই উত্তেজিত! তারা আমার সঙ্গে যা করেছে তা খুব কষ্ট দিয়েছে আমাকে।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তৌসিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেখানে আন্দোলন করছে তার অপর পাশের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। প্রথমে দুই-তিনজন ছেলে এসে আমার গাড়ি আটকে দেয়। কয়েকজন ছেলে আমার গাড়ির পেছন দিকে লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এতেই মূলত আমার রাগ হয়। আমার গাড়ির লাইসেন্স দেখাতে চাইলে সেটা দেখাই কিন্তু তারপরেও তারা গাড়ি নিয়ে যেতে দেবে না।’
‘আমি তাদের বললাম, গাড়িতে আমার অসুস্থ মা আছে, মাকে বাসায় রেখে আমাকে শুটিংয়ে যেতে হবে; কিন্তু তারপরও তারা কথা শুনছিল না। পরে গাড়ি থেকে নেমে তাদের সবার সঙ্গে কথা বলি, সবাই আমার সঙ্গে ছবিও তুলে। এরপর আমাকে যেতে দিয়েছে।’
‘এখন আমার কথা হলো, যেখানে আন্দোলন করলে বা কথা বললে কাজ হবে সেখানে কথা বলতে হবে। তা না করে এখনকার শিক্ষার্থীরা যদি এমন আচরণ করে, এটা তো ঠিক না। আমার মতে তারা ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। উচ্ছৃঙ্খল হলে তো হবে না।’
এ বিষয় শিক্ষার্থী আহসান হৃদয় জানান, শিক্ষার্থীরা তো এমনিতে তর্কাতর্কি করেনি। তৌসিফ বার বার শুধু তার লাইসেন্স দেখাচ্ছিল। কিন্তু গাড়ি ড্রাইভ করতেছিল তার ড্রাইভার। শিক্ষার্থীরা গাড়ি চালকের লাইসেন্সই দেখতে চাচ্ছিলো।