জরুরি সেবার গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর রামপুরায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসচাপায় মাইনুদ্দিন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রামপুরা ব্রিজ এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তার সহপাঠীরা। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়, যা এখনও চলছে। তবে কর্মসূচিতে জরুরি সেবার গাড়ি দেখলেই ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে মতিঝিল থেকে এয়ারপোর্ট রোডে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে শত শত গাড়ি।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, আর না আর না, আমার ভাই কেন কবরে।’ শ্লোগান মুখরিত করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া একইভাবে ব্যাহত হচ্ছে গুলশান এলাকার যানচলাচলও। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।
রামপুরা থেকে হেটে আসা সফিক বলেন, শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে মাঠে নেমেছে। তবে যানচলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের খুব কষ্ট করতে হচ্ছে।
এদিকে যানচলাচল বন্ধ করে রাখলেও প্রমাণ সাপেক্ষে জরুরি সেবার পরিবহন যেতে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, সরকারি জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি, দূরপাল্লার যাত্রীদের গাড়ি।
ইম্পেরিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। আমরা এর আগেও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে মাঠে নেমেছিলাম। আবারও নামতে বাধ্য হলাম। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছেড়ে যাবো না। আমরা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখলেও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত সবাইকে প্রমাণ সাপেক্ষে ছেড়ে দিচ্ছে।