ওরা গুলি করে মারলেও এতো কষ্ট হতো না: আবরারের মা
হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করলে আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এভাবে চলে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ফাহাদের কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় গেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন রোকেয়া খাতুন।
চোখ মুছতে মুছতে রোকেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে ওরা গুলি করে মারতে পারতো, তাহলে ওর এতো কষ্ট হতো না।
রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন- আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। শনিবার দুপুরে বাসযোগে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা। তবে খুনিদের চেহারা সহ্য করতে পারবেন না বলে সঙ্গে যাচ্ছেন না মা রোকেয়া খাতুন।
তিনি বলেন, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গিয়েছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে। আমার মতো আর যেন কোনো মায়ের কষ্ট নিতে না হয়।
মামলায় আরও আসামি হওয়া দরকার ছিল বলে মন্তব্য করে আবরারের মা বলেন, যারা আশপাশের রুম থেকে ফাহাদের নির্যাতনের খবর জেনেও কেন শিক্ষক বুয়েট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। বিষয়টি জানালে ফাহাদের এই নির্মম অত্যাচার ও মৃত্যু হতো না।
আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আশা করছি। ভাইয়ের রায় ঘোষণা শুনতে আব্বার সঙ্গে আমিও ঢাকায় যাবো। আমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের আরও অনেকে যাবে।
আলোচিত এই মত্যা মামলার সব আসামির ফাঁসি চায় আবরারের পরিবার।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।