এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তাবে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন

বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে
বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে   © সংগৃহীত

বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) পর্যায় থেকে উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উত্তরণের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিসি ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত হওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এটি গৃহীত হবার পর বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার স্বপ্ন দেখেছেন। কভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতম সময়েও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার ফলে আজ রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল।

তিনি আরও বলেন, এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একটি যুগান্তকারী অর্জন। যা এমন এক সময়ে অর্জন হল যখন বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।

স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণ কেবল সুনির্দিষ্ট একটি দেশেরই সাফল্য নয়, এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তির প্রমাণও বটে মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, ‘উত্তরণ কোনোভাবেই শাস্তি হতে পারে না। এটি হতে পারে পুরস্কার।’

কাতারের দোহায় আসন্ন ৫ম জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন (এলডিসি-৫) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, পরবর্তী দশকে এলডিসির দেশগুলোর জন্য একটি রুপান্তরধর্মী কর্মসূচি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সম্মেলনটি উন্নয়ন সহযোগীদেরকে চমৎকার একটি সুযোগ এনে দেবে।

তিনি বলেন, দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উত্তরণের বিষয়ে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে যাতে আরও ১৫টি এলডিসিভুক্ত দেশকে উত্তরণের মানদন্ড পূরণে সক্ষম করে তোলা যায়। দোহা খসড়া প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে সে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের সাফল্য নির্ভর করছে মূলত উন্নয়ন অংশীদারদের সংহতি ও বাড়তি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রতির উপর।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ফাতিমা প্রস্তাবটি গ্রহণের ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সহায়তা করায় সকল সদস্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারগণকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রর্বাট রে এলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ