পাওনা টাকা চেয়ে আলেশা মার্টের অফিসে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আলেশা মার্টের অফিসে অবস্থান
আলেশা মার্টের অফিসে অবস্থান  © সংগৃহীত

পাওনা টাকা চেয়ে রাজধানীর বনানীতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের অফিসে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার সকাল থেকে তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের দেওয়া কথা অনুযায়ী সকালে টাকা ফেরত নিতে যান তারা। তবে সকাল থেকে বিভিন্ন কথা বলে তাদের ঘুরাতে থাকে আলেশামার্ট কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে টাকা না দেওয়ায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিলে তাদেরকে ধাক্কা দেন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীরা৷

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হই হই রই রই, চেয়ারম্যান গেলো কই’, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা, মানি না মানবো’, ‘এক দফা এক দাবি, আমার টাকা কখন দিবি’ স্লোগান দিতে থাকেন। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিদওয়ান উল্লাহ বলেন, আলেশা মার্ট আমার প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে ৩ বার ডেট দিয়ে ৬ মাস ধরে ঘুরাচ্ছে। এর মাঝে আমার অর্ডার ফেরত চাইলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না। ৬-৭ বার অফিসে এসেও সমাধান পাইনি। এরপর চেয়ারম্যান নিজে আমাদেরকে কথা দিয়েছেন আজকে (বুধবার) টাকা দিবেন। কিন্তু ওনি সারাদিন ঘুরিয়ে টাকা না দিয়েই অফিস ত্যাগ করেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের প্রত্যেকের পাওনা টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ওদের অফিস ত্যাগ করব না।

আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী আলেশা মার্টের বনানী অফিসে অবস্থান নিয়েছি। এর আগে আমরা গত সোমবার ৩০ জন সবাই আলেশার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন আলেশার চেয়ারম্যান নিজেই আমাদেরকে আজকে টাকা নিতে আসতে বলেন। এমনকি অফিসে ঢুকতে গিয়ে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে ছাত্রদের হাতাহাতি হয়। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা টাকা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করবো। এখানে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এ বিষয়ে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের বক্তব্যে পাওয়া যায়নি। তাকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। 


সর্বশেষ সংবাদ