ভোলায় টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
ভোলায় ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদানের নবম দিন আজ। গতকাল রবিবার (২১ নভেম্বর) মেয়েদের টিকা কেন্দ্র জেলা পরিষদের হলরুম থেকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই স্থানান্তরিত করায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় টিকা নিতে আসা বিভিন্ন উপজেলার ৬টি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের।
টিকার দেওয়ার দায়িত্বে থাকা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা নুর ই আলম ছিদ্দিকী বলেছেন, জেলা পরিষদের হলরুমে গত ১৩ নভেম্বর থেকে টিকা কেন্দ্র চলছিল। কিন্তু জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সমস্যার কারণে রবিবার ওই কেন্দ্র সরিয়ে ৭ দিনের জন্য উপজেলার হলরুমে আনা হয়। এরপর নতুন কেন্দ্র কোথায় চালু করা হবে তার সিদ্ধান্ত কেউ দিতে পারছেন না। এতে পরবর্তী টিকা কার্যক্রমের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ফাইজারের টিকার জন্য ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকা প্রয়োজন। তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছাড়া টিকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ১ লাখ ১০ হাজার টিকার মধ্যে গত ৯ দিনে টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৯৮ জনকে। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শেষ করতে কমপক্ষে ৩ মাস সময় লাগবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীদের জেলা সদরে এসে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ। এই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য ও সময়মতো টিকা কার্যক্রম শেষ করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোবাস সিস্টেম চালু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
ওই অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়াও সহজযোগ্য। বিষয়টি সম্ভব বলেও জানান সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহম্মেদ।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলায় কর্তব্যরত সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বলেন, টিকা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। অপরদিকে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্ব শিক্ষা বিভাগের।
এমন প্রশ্নের জবাব জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মধাবচন্দ্র দাস বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (ফাইজারের) প্রদান কেন্দ্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বিষয় রয়েছে। ফলে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকেই দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের একেকদিন একেক স্থানে নেওয়ার বিষয়টিও ঝুঁকির মধ্যে থেকে যাচ্ছে।
এসব বিষয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় আনারও দাবি জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।