ইউনেস্কোর ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রবর্তনে সংসদে প্রস্তাব গৃহীত
সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদানের ঘোষণায় ‘ইউনেস্কোর’ প্রতি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘ইউনেস্কো- বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্যা ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক’ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এবং আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে এটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের পাশাপাশি সরকারি দলের বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ, কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়সিকা আয়শা খান, কাজী নাভিল আহমেদ এ আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক চুন্নু, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, পীর ফজলুর রহমান, বিএনপির হারুনুর রশীদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননও আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এ পুরস্কার প্রবর্তন করে শুধু আমাদের জাতির পিতাকে না, গোটা বাঙালি জাতিকেই বিশ্বের বুকে সম্মানিত করেছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে গৌরবান্বিত করা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ পুরস্কার প্রবর্তনের পটভূমি উল্লেখ করে ইউনেস্কোর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ইউনেস্কো এর আগে ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করে।’
সূত্র: বাসস