শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সংলাপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার বিষয়ক জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশননের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এনডিসি।
শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবাধিকার সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ইউএনডিপির হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম এর সহযোগিতায় এবং সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড ম্যাসকিউলিনিটিজ স্টাডিজ এর পরিচালনায় “ব্রেভম্যান ক্যাম্পেইন” শীর্ষক স্কুল কার্যক্রম সংগঠিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক শিক্ষাঙ্গনে।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবেই সম্প্রতি একটি মানবাধিকার বিষয়ক অনলাইন কোর্স তৈরির উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্সটি ডিজাইন করা হয় এবং সেখানে শিক্ষার্থীদেরও প্রশ্ন করার সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউল্যাব স্কুলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার, ব্রেভম্যান ক্যাম্পেইন এর পথিকৃৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড ম্যাসকিউলিনিটিজ স্টাডিজের উপদেষ্টা ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ ও ইউএনডিপি হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামে জেন্ডার এক্সপার্ট বিথীকা হাসান ।
শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী জিজ্ঞাসা এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যানের তথ্যবহুল সাবলীল উত্তরে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা পথশিশু, হিজড়া, নারীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মানবাধিকার কমিশন, সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনসমূহের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা অন্যের অধিকার সুরক্ষা করবো, নিজেকে সুরক্ষিত রাখবো।
কিশোর গ্যাং এর অপরাধ উল্লেখ করে তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার এবং টিকটক, লাইকির লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে মানব পাচারের শিকার হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে যাতে শিক্ষামূলক কাজে নিয়োজিত থাকে সেবিষয়ে সকলকে আহ্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, যে কোনো ভাল কাজই যেন বাধাহীন হয়, কিশোর-কিশোরীরাও যেন এগিয়ে আসতে পারে, সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাবেন। সবশেষে যার যার অবস্থান থেকে মানবাধিকার এম্বাসেডর হয়ে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজ করার আহ্বান জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।