১২৭৭ প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও শিক্ষক হতে পারেননি পারভীন
শাহনাজ পারভীন জনি ২০১০ সালে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে এমবিএ শেষ করেন। তিনি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার রামপুরে থাকেন। শিক্ষকতা করার ইচ্ছার অংশ হিসেবে নিয়েছেন নিবন্ধন সনদও। ৯ম নিবন্ধন পরীক্ষায় স্কুল আর কলেজ শিক্ষকের ১১তম নিবন্ধন পরীক্ষায় সফলভাবে যোগ্যতাও অর্জন করেন তিনি।
তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক সিদ্ধান্তের বেড়াজালে আটকে আছে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। যে কারণে শাহনাজ পারভীন জনি ৭ বছরে তিন দফায় দেয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে, বিদ্যালয় ও কলেজসহ ১২শ ৭৭টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও হতে পারেননি শিক্ষক। এরইমধ্যে আবেদনের বয়সও শেষ হয়ে গেছে তার। শাহনাজ পারভীনের বাবা নেই। তাঁরা পাঁচ ভাইবোন। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ৩৬ বছর বয়সী শাহনাজ পারভীন বিয়ে করেননি।
পারভীন নিয়োগ না হওয়ার কারণ হিসেবে এনটিআরসিএ’র ১ থেকে ১২তম সনদধারীদের মূল্যায়িত না করার ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন। তিনি বলেন, ‘যারা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত, যাদের ক্ষমতা আছে আমি তাদের কাছে দাবি রাখতে চাই, আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে আমাদের মুক্তি দেয়া হোক।’
নরসিংদী জেলা স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মশিউর রহমান মৃধা আবেদনকারী শাহনাজকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, নরসিংদী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বিষয়টি এনটিআরসিএ’র নিয়ন্ত্রনাধীন থাকায় পারভীনকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।