নির্বাচনী সহিংসতায় ২৭ লাশ, সিইসির দায়িত্ব পালন করবে কে?
সম্প্রতি প্রায় ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপ শেষে আজ ২য় ধাপের নির্বাচন চলছে। বাকি দুই ধাপের নির্বাচন এখনও বাকি আছে।
তবে এরই মাঝে নির্বাচনী সহিংসতায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আহত অনেকেই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন প্রবল যন্ত্রণায়, কেউ কেউ মৃত্যুর প্রহরও গুনছেন।
পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতায় মৃত্যুহার বাড়তে পারে কয়েক গুণ।
নির্বাচরকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং নরসিংদীতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধু নরসিংদীতেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
নির্বাচন কেন্দ্রীক এ সহিংসতায় প্রাণহানি যখন বেড়েই চলছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা তখন আশার বাণী শোনানোর পরিবর্তে শোনালেন ভিন্ন কথা। সহিংসতা দূর করার ‘উপায়’ উপস্থাপন করতে গিয়ে বললেন, ‘পাড়া-মহল্লায় পুলিশ দিয়ে, পাহার দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা থামানো যায় না।’
তিনি প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের আচরণ ঠিক করার উপদেশ প্রদান করলেন। সাথে সাথে প্রশাসন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকেও দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।
পুলিশ, প্রশাসন সর্বোপরি, নির্বাচন কমিশন যদি সংঘাত বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন না করে, তবে এ দায়িত্ব পালন করবে কে?