অপহৃত সেই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৩ AM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৩ AM
খুলনার পাইকগাছায় আগড়ঘাটা বাজার এলাকা থেকে অপহৃত কলেজছাত্র আমিনুরের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজারের অপর প্রান্ত শাহজাতপুরে কপোতাক্ষ নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তাকবীর হুসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাওসার আলী জোয়াদ্দার বলেন, আমিনুলকে খুনের পর যেখান থেকে নদীতে ফেলা হয় তার প্রায় ১ হাজার ফুট দূরে কপোতাক্ষ নদে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশকে জানানোর পর তারা এসে আমিনুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
মুক্তিপণের দাবিতে খুলনার পাইকগাছায় কলেজছাত্র আমিনুরকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) নিহতের পিতা সুরমান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত তিনদিন ধরে কপোতাক্ষ নদে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে বুধবার তার মরদেহ পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার একমাত্র আসামি ফয়সাল খুনের বর্ণনা করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার জন্য বাইক কেনার অর্থ জোগাড় করতেই কলেজছাত্রকে খুন
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক মো. মনিরুজ্জামান।
নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আটককৃত ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিনুরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় বন্ধু ফয়সাল। তার ডাকে সাড়া দিয়ে পাইকগাছা উপজেলার আড়ংঘাটা বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে দেখা করে আমিনুর। সেখানে ফয়সাল প্রথমে ঘুমের বড়ি মিশ্রিত জুস খাওয়ায় আমিনুলকে। এরপর তারা একসঙ্গে ধূমপান করে। একপর্যায়ে আমিনুরের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হলে দা দিয়ে গলায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেয় ফয়সাল। এরপর আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার বাবা ছুরমান গাজীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সেই টাকা পাইকগাছা ব্রিজের নিচে রাখতে বলে। তার কথামত আমিনুরের বাবা ছুরমান গাজী কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দূর থেকে লোক দিয়ে নিরীক্ষণ করেন। পরে ফয়সালকে টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে কপোতাক্ষ পাড়ে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও সেদিন আমিনুরেরমরদেহ পাওয়া যায়নি।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ফয়সাল জানায়, প্রেমিকার মোটরসাইকেল কেনার আবদার রক্ষা করতে সে আমিনুরকে অপহরণ করে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।