তৃতীয় দেনেও গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

বাস-ট্রাকের পর এবার বন্ধ হলো লঞ্চ
বাস-ট্রাকের পর এবার বন্ধ হলো লঞ্চ  © ফাইল ফটো

ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানোর প্রতিবাদের ট্রাক-লরি ও বাসের পর এবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মহা ভোগন্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। শনিবার (৬ নভেম্বর) লঞ্চ মালিকদের সংগঠন ডাকা জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত ৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে রবিবার (৭ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো কুমিল্লার সব বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখেছে কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে জরুরি কাজে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে না পেরে বাসটার্মিনাল থেকে ফিরে গেছেন। ভরসা ছিল লঞ্চ সেটাও শনিবার রাত হতে বন্ধ। যাত্রীদের দাবি, দ্রুত যেন বাস সার্ভিস ও লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হয়।

কুমিল্লার তিনটি বাসটার্মিনাল থেকে চারটি রুটে ২৬টি পরিবহনের প্রায় ২ হাজার বাস কুমিল্লা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা না থাকলেও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনের মালিক সড়কে বাস নামাতে চাচ্ছে না। সড়কে বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাড়তি তেলের দাম দিয়ে বাস চালাতে গিয়ে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

করোনাকালে পরিবহন মালিকরা এমনিতেই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যে কারণে দাবি না মানা পর্যন্ত বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন শনিবারও দিনভর যাত্রাপথে দুর্ভোগেই কেটেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের।

বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের পর সড়কের দুর্ভোগ মেনে ঢাকার সদরঘাটে এসে লঞ্চে উঠছিলেন দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা। শনিবার সকালের পর সদরঘাট থেকে ৩০টি লঞ্চ ছেড়ে গিয়েছিল বিভিন্ন গন্তব্যে। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পন্টুন থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়।

এতে অনেকটা পথ পেরিয়ে যারা ঘাটে এসেছিলেন তারা বিপদে পড়ে যান।


সর্বশেষ সংবাদ