পীরগঞ্জে হামলায় গ্রেপ্তার সৈকত ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পীরগঞ্জের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্রলীগকে জড়ানোর যে অপচেষ্টা করেছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. সৈকত মন্ডলকে নানা অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগ থেকে অনেক আগেই বের করে দেয়া হয়েছে। তাকে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।’
ড. হাছান বলেন, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, সে একজন অনুপ্রবেশকারী ছিলো এবং কোনোভাবে একটা বিভাগের একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ের কমিটিতে তার নাম ছিলো। পরে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। যাকে আগেই ছাত্রলীগ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, সে যখন কোনো অপকর্ম করে, তখন সে দায় কখনো ছাত্রলীগের ওপর দেয়া যায় না।’
‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সব সময় একটি বিরূপ প্রচারণা চালানো হতে দেখা যায়’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি খোঁজার নামে বা কোনো কিছুর গন্ধ পাওয়া যায় কি না, সেভাবেও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এটি পরিষ্কার যে, পীরগঞ্জের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ছাত্রলীগকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করার কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পূজামন্ডপে যে কোরআন শরীফ রেখে এসেছিল, সে কারো ফরমায়েশে এ অপকর্ম করেছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পর ভিডিও করা হয়েছে এবং সেটি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, নানা ধরণের পোস্ট দেয়া হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে। কারা এর পেছনে আছে সহসাই বের হবে।