শাহবাগে অবরোধ: তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা  © সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ সাত দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আর এই আন্দোলনের কারণে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম যানজট।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছেন তারা।

রাজধানীর রাজারাবাগ থেকে আসা এক নারী নাজমা খাতুন আজ সকাল ১০টায় বাসে করে মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট রোগীর জন্য খাবার নিয়ে রওনা হন। শাহবাগে সাড়ে দশটার মধ্যে পৌঁছে আটকা পড়েন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন স্বাভাবিক যানজট, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারেন সারাদেশে পূজামণ্ডপে ভাঙচুরের প্রতিবাদে শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।

তিনি আরও বলেন, গত আড়াই ঘণ্টা ধরে বাসে বসে আছি। কখন প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হবে তা বুঝতে পারছি না। বাস থেকে নেমে হেঁটে যাবো সে উপায়ও নেই। সবদিকেই রাস্তা বন্ধ। এখন অপেক্ষা ছাড়া আর কি বা করতে পারি।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, যাত্রীরা অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো কোনো যাত্রী সামনে গিয়ে আদৌ যানবাহন পাবেন কিনা তা ভেবে গত দুই তিন ঘণ্টা ধরে বাসে অবস্থান করছেন। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন যাদের তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে রাখার কারণে তাদের স্ব-স্ব যানবাহনেই অবস্থান করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতিবাদকারীদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ চত্বর। তারা সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জানান, গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু শাহবাগে এসে রাস্তায় আটকে পড়ার কারণে যাত্রী সামান্য ভাড়া দিয়ে নেমে যান। এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সিএনজি গ্যাস ও ব্যক্তিগত খাবার খরচ ছাড়া প্রতিদিনের জমা এক হাজার টাকা। এখানে বসে থাকা মানে রোজগার বন্ধ।

মিরপুর থেকে আসা এক বাস যাত্রী সিহাব বলেন, ১০টার সময় সিটি কলেজের সামনে বাসে বসে আছি এখন বাজে ১২ টা জানিনা কখন যাত্রবাড়ি পৌছাব।


সর্বশেষ সংবাদ