যারা জনগণের সম্পদ মেরে খায়, তারাই মন্দিরে হামলা করে: চরমোনাই
ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, যারা জনগণের সম্পদ মেরে খায়, তারাই মন্দিরে হামলা করতে পারে। কোনো ধার্মিক মন্দিরে আক্রমণ করতে পারে না। সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় এ ঘটনাগুলো ঘটছে। জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই।
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকারীদের বিচার ও দ্রব্যমূল্যর লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শনিবার (১৬ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজনে একথা বলেন তিনি।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, কুমিল্লার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা আমরা জানি না। সরকারকে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে হবে। এটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের, গোয়েন্দা সরকারের। বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের সে দায়িত্ব পালনে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননায় সারা দেশে যে দাবানল চলছে তা নিভানোর চেষ্টা করুন।
সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য বিদেশিদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধীতা করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন বলেন, কোরআনের অবমাননা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। প্রতিটি ঘটনার পর রাজনৈতিক দলের লোকদের উপর দায় চাপিয়ে বারবারই সংখ্যালঘুদের উপর হামলাকারীরা বেঁচে যায়।
তিনি আরও বলেন, মানুষ না খেয়ে অনেক কষ্টে আছে।
ইসলামী যুব আন্দোলন প্রধান মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে সরকারের উচিত ছিল বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে ছন্দে ফিরিয়ে আনা। বিদ্যুৎ বিল-পানির বিল জুলুমে পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি থামাতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ কাইয়ুম বলেন, কোরআন অবমাননার কারণে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের বিচার দাবি করছি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, ইসলামের শত্রুরাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা হিন্দু-মুসলান কেউই এ কাজ করতে পারে না। কোনো টুপি-দাঁড়িওয়ালা আজ পর্যন্ত কোনো মন্দিরে হামলা করেনি।
হাজীগঞ্জের ঘটনায় তিনি আরও বলেন, সেখানে গুলি করারতো দরকার ছিল না। ইমানি দায়িত্ব হিসেবে মুসলমানরাতো প্রতিবাদ করবেই।
তিনি আরও বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিরসনে প্রধানমন্ত্রীকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।