১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২০

এক উপজেলায় ঝরে পড়েছে ২ হাজার শিক্ষার্থী

সিলেটের এক উপজেলায় ঝরে পড়েছে ২ হাজার শিক্ষার্থী  © প্রতীকী ছবি

করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এই সময়ে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে আর কিছু ছাত্র প্রবাসে চলে গেছে। এছাড়া প্রাথমিক-মাধ্যমিকের প্রায় ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের কতভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এ নিয়ে একটি বেসরকারি এনজিও জরিপ চালাচ্ছে। আপাতত তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই দুই স্তরের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে করোনার পূর্বেই স্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩ ভাগ। করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে বলেন, বিয়ানীবাজারে বাইরের জেলার যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তারা এখান থেকে চলে গেছে। তবে বাল্যবিয়ের কারণে উপজেলায় ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে।

বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ তালুকদার জানান, তার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী আর আসছে না। বিদ্যালয়ে পাঠদান পুরোপুরি শুরু হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মৌলুদুর রহমান বলেন, ‘সঠিক জরিপ এখনো পাওয়া না গেলেও প্রায় ১০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে অনুমান করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কারণে যারা বিদ্যালয়ে আসছে না, তাদের ফি মওকুফ করা দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সাধ্যমতো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছে। করোনা মহামারিতে শিক্ষাখাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।’

সূত্র: ইউএনবি