বাইক পোড়ানো সেই যুবক বললেন, ‘পুলিশের কোনো দোষ নেই’

পুড়তে থাকা বাইকের পাশে দাঁড়িয়ে পাঠাও চালক শওকত, একটু দূরে পুলিশ
পুড়তে থাকা বাইকের পাশে দাঁড়িয়ে পাঠাও চালক শওকত, একটু দূরে পুলিশ  © ফাইল ছবি

রাজধানীর বাড্ডায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সেই যুবক এখন বলছেন, নিজের ইচ্ছেতেই তিনি আগুন দিয়েছিলেন, এতে পুলিশের কোনো দোষ নেই।

ট্রাফিক পুলিশ ‘মামলা দেওয়ায়’ প্রতিবাদ জানাতে নিজের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিলেন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’ এর চালক শওকত আলম সোহেল।

জানা গেছে, আগে থেকেই ওই মোটরসাইকেলটিকে একটি মামলা দেওয়া ছিল। কাগজপত্রে ‘সামান্য ত্রুটি’ থাকায় পুলিশ ফের মামলা দেওয়ায় মনের কষ্টে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বাইকার শওকত।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় তৎক্ষণাৎ পথচারী ও অন্য গাড়ির যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাইক পোড়ানোর ঘটনার পরে তাকে বাড্ডা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

থানা থেকে বের হয়ে শওকত আলম সোহেল বলেন, ‌আমার নিজের ইচ্ছাতেই গাড়ি জ্বালাইছি। এতে তো আমার-ই ক্ষতি হলো। রাগ করতে গিয়ে নিজের গাড়িই জ্বালিয়ে দিলাম। পুলিশের কোন দোষ নেই।

                             আরও পড়ুন: ‘মামলায়’ অতিষ্ঠ যুবক দিলেন বাইকে আগুন

শওকত বলেন, আমি কেরানীগঞ্জে ব্যবসা করতাম। দেড় মাস ধরে পাঠাও চালাই। গত সপ্তাহেও আমাকে একটা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আজ ট্রাফিক পুলিশ আবারও মামলা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছি তা জানতে চেয়েছে। এখন আমি এলাকায় চলে যাচ্ছি। আমি এই ঘটনায় অনুতপ্ত।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার পরে আমরা তার পোড়ানো গাড়ি ও তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসি। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো ভুল ছিল কিনা, কী ঘটেছিল এসব বিষয় জনার জন্য ওনাকে এখানে আনা হয়েছিল। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

বাড্ডা থানার সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) সুবীন রঞ্জন দাস জানান, লোকটি খুবই হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন বলে মনে হলো। তার এলাকায় ব্যবসা ছিল। করোনায় লস করে এখন বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব কারণে হতাশা থেকে হয়তো এ কাজ করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ