‘মামলায়’ অতিষ্ঠ যুবক দিলেন বাইকে আগুন (ভিডিও)
ট্রাফিক পুলিশ ‘মামলা দেওয়ায়’ নিজের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন শওকত আলম সোহেল নামের এক পাঠাও চালক।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। সকালের ব্যস্ত সড়কে এমন কাণ্ডে পথচারী ও অন্য গাড়ির যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, আগে থেকেই ওই মোটরসাইকেলটিকে একটি মামলা দেওয়া ছিল। কাগজপত্রে ‘সামান্য ত্রুটি’ থাকায় পুলিশ ফের মামলা দেওয়ায় মনের কষ্টে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বাইকার শওকত।
তবে গুলশান ট্রাফিক জোনের ডিসি রবিউল ইসলাম বলেন, তার বাইকের নামে মামলা দেওয়ার জন্য কাগজপত্র নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মামলা দেওয়া হয়নি। তার আগেই তিনি তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
বাইক পোড়ানো শওকত আলম বর্তমানে বাড্ডা থানায় আছেন বলে জানিয়েছেন ডিসি রবিউল।
এদিকে বাইকটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার সময়ের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়ছে। আর মালিক শওকত চিৎকার করে হেলমেট ছুড়ে মারছে। এসময় পাশের লোকজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। ততক্ষণে পুড়ে যায় মোটরসাইকেলটি।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে মিরাদুল মুনিম নামে একজন লিখেছেন, মনের কষ্টে নিজের বাইকে আগুন! কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকায় মামলা দেয় পুলিশ। তাই মনের কষ্টে গ্যাসলাইট দিয়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেয় শওকত আলম সোহেল নামে এই হতভাগা আদম। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে চেষ্টা করলাম কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ!
তবে বাইকে এভাবে আত্মঘাতী আগুন দেয়ার সমালোচনাও করেছেন অনেকে। শাহাদাত রাসেল নামে একজন লিখেছেন, এরকম প্রতিবাদ কাম্য না।
তবে শাহাদাত একই সাথে ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা হয়রানির বিষয়টাও উল্লেখ করে বলেছেন, একজন মানুষ কতটা পেইন খেলে এটা করে (আগুনে পোড়ানো) তা জানি। কারণ, এদেশে ট্রাফিক পুলিশ মানেই একটা আতঙ্ক।