২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২৯

দুর্বৃত্তের বিষে ঋণে চাষ করা মাছ হারালেন ছাত্রলীগ নেতা

কার্তিক দাসের পুকুরের মরে যাওয়া মাছ  © টিডিসি ফটো

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় এক মৎস্য খামারী ছাত্রলীগ নেতার পুকুরে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে ৭-৮ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ১২নং আশরাফপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের চাঙ্গিনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে মারা যাওয়া সব মাছ ভেসে উঠে। খামারের মালিক কার্তিক রায় এ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বর্তমানে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতা কার্তিক এর আগে ১২ নং আশরাফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক ছিলেন।

ভুক্তভোগী খামারি কার্তিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মাছের পুকুর আমার বাড়ির সামনেই। আয়তনে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশের মতো হবে। বিষ দিয়ে পুকুরের সব মাছই মেরে ফেলেছে দুস্কৃতিকারীরা। আমার প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে বিষ দিয়েছে জানিয়ে কার্তিক জানান, সকালে যখন পুকুর দেখতে এসেছি তখন দেখি মাছ নড়ে না। পরে দেখি মাছ মরে গেছে। অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমার।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বিচার দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও জয়বাংলা স্কোয়াডের প্রধান সমন্বয়ক ফয়েজউল্লাহ মানিক।

কার্তিকের খামারের মরে যাওয়া মাছের ছবি শেয়ার করে মানিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন বেকার না থেকে প্রয়োজনে মাছচাষ-সহ কৃষি ভিত্তিক অন্যান্য খামার কিংবা ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করতে। কিন্তু এরকম (কার্তিক রায়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা) প্রায়শই আমরা দেখি। প্রচন্ড কষ্ট হয় এগুলো দেখলে এবং নিজের উপরই ঘৃণা জন্মে।

মানিকের নিজ এলাকায় ঘটা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, ছাত্রলীগ নেতা কার্তিক রায় ধার-দেনা আর পরিবার থেকে মিলিয়ে এই প্রজেক্ট করেছিল। আর কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বিক্রির সাইজে আসত। এসবের শেষ অবশ্যই বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার বাংলায় হবে।

ফয়েজউল্লাহ মানিকের ওই ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।  

ফয়সাল সিকদার নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ভালো করে তদন্ত করতে হবে যে, এই অমানুষগুলো কারা, যারা এই কাজ করছে? তারা কার্তিক এবং তার পরিবারের উপর যে কোন সময় আরো বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে।

দুর্বৃত্তদের শাস্তি দাবি করে রুবেল আল-মামুন নামে একজন লিখেছেন, কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এরা শুধু একটা পরিবারকে পথে নামায় না, একটা দেশের সম্ভাবনা নষ্ট করে।

এক মন্তব্যে কার্তিকের বিপদে পাশে থাকার জন্য একটি ফান্ড গঠনের আহবান জানিয়ে কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরকার লিখেছেন, বিষয়টা খুব দুঃখজনক। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হোক। আসুন আমরা সবাই মিলে ছোট একটা ফান্ড তৈরি করে কার্তিক এর পাশে দাঁড়াই। যে কোন একজন উদ্যোগ নিন।