গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সিলেটে জলবায়ু ধর্মঘট
বৈশ্বিক জলবায়ু আন্দোলন, ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের আহ্বানে ডাকা ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে সিলেটের একদল তরুণ। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট নগরীর কীনব্রীজ এলাকায় সমবেত তরুণরা নানা দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
এবারের ধর্মঘটের মূল বিষয় হচ্ছে, ‘আপরুট দ্য সিস্টেম’ বা ‘নিয়ম উপড়ে ফেল,’ অর্থাৎ বৈষম্যমূলক নীতি ও অবদমন থেকে পৃথিবী এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মানুষদের সুরক্ষিত করা।
ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ আন্দোলনের ব্যানারে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সিলেট ইউনিট ও ইসলামিক রিলিফ’র সদস্যদের মধ্যে অর্ধশত তরুণ-তরুণী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তারা আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ির পরিবর্তে বিশ্বনেতাদের জরুরি কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানায়।
এই আসন্ন মিলান যুব সম্মেলন ও প্রিকপ সামনে রেখে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চাপে রাখাসহ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস সিলেট ইউনিটের সমন্বয়ক দেলওয়ার হোসেন মান্না’র সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।
ঘণ্টাব্যাপি এই জলবায়ু ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস সিলেট ইউনিটের সহ-সমন্বয়ক নাজমুন নাহিদ, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ পক্ষে রাশেদ আহমদ, ইয়ুথ নেটের হুমায়রা জেবা, মাইশা নেওয়াজ, তামিম আহমেদ সাজন আহমদ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, সুইডেনের সংসদের সামনে দেশটির স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী গ্রেটা থুনবার্গ একটি প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন। সেখানে লেখা ছিল- ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। তার এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বের নানান প্রান্তের শিক্ষার্থী ও তরুণরা ধর্মঘট পালন করেন।