সারাদেশে পরীক্ষমূলক ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু হয়েছে

সারাদেশে পরীক্ষমূলক ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু হয়েছে
সারাদেশে পরীক্ষমূলক ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু হয়েছে  © সংগৃহীত

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারাদেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। আমরা যখন কোনো সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে (বই, পত্রিকা, প্রভৃতি) যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে করে আমাদের সময়টি যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারাদেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে হলেও এর কার্যকারিতা ফলপ্রসূ ও সুবিশাল।’

সারা দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী/পাঠক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে লিখিতভাবে পাঠ-উত্তর প্রতিক্রিয়া/অভিমত ব্যক্ত করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিন মাসব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বইয়ের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়তে হবে। নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকৃষ্ট করে।

সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে, যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি থেকে তথ্যসেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ একই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।’

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘ই-বুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক হতে পারে। বইয়ের আবেদন চিরন্তন। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সহানুভূতি-সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি বই পড়ন তারা দ্রুত, সুন্দর ও গোছানোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।’

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।


সর্বশেষ সংবাদ