এসডিজি অর্জনে অগ্রগতির বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশ

এসডিজি অর্জনে অগ্রগতির বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশ
এসডিজি অর্জনে অগ্রগতির বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশ  © সংগৃহীত

২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নিজেদের অগ্রগতির স্বীকৃতি মিলিছে বাংলাদেশের। এসডিজি অর্জনে ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে থাকায় বিশেষ সম্মাননা ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল বাংলাদেশ।

এসডিজির নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক এই সম্মেলনটির আয়োজন করে।

অনলাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই সম্মানতা তুলে দেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট জেফরি ডেভিড স্যাকস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত এবং সম্মানিত অনুভব করছি, বাংলাদেশের জনগণের জন্য এটা আমরা দিতে পারছি। এসডিজি অর্জনে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সম্মাননাটি গ্রহণ করে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে এই পদক গ্রহণ করে আমি খুবই সম্মানিত অনুভব করছি। এই পদক দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানিত করায় আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনে আমাদের যে কর্মসূচি এবং এগিয়ে চলা, এই পদক তার স্বীকৃতি। এসডিজি অর্জনে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যাতে একটি মানুষও বঞ্চিত না থাকে।

পদকটি দেশের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার দেশের মানুষের প্রতি আমি এই পদক উৎসর্গ করতে চাই। স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজকের যত অর্জন, সব হয়েছে দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য।

এই সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করে এসডিজি অর্জনে ৫টি প্রস্তাব রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণের ওপরই এসডিজির সাফল্য নির্ভর করছে। এখন বিশ্বের সব জায়গায় ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা সময়ের দাবি এবং তা অতি জরুরি।

দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের সম্পদের যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে, তা অবশ্যই কমাতে হবে।’

তৃতীয় প্রস্তাবনায় শেখ হাসিনা বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারির অভিঘাতের কারণে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বাড়ছে, তার জন্য আমরা উদ্বিগ্ন।

পরিস্থিতি উত্তরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

চতুর্থ প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপগুলো ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলায় জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকে পূর্ণতা দেবে।

পঞ্চম ও সবশেষ প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ জোরদার করা ও যান্ত্রিক সহায়তার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের সমন্বয় বাড়ানো উচিত জানিয়ে জরুরি পরিস্থিতি ও বিপর্যয় মোকাবিলায় যথাযথ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।


সর্বশেষ সংবাদ