স্কুলে ফেরা হলো না আশরাফুলের, লাশ হয়ে ফিরল বাড়িতে
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল (১৩)। করোনাভাইরাসের কারণে দেয়া লকডাউনে স্কুল বন্ধের সাথে তারও পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। সংসার চালানোর জন্য এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করে সে। ইচ্ছে ছিল আবার স্কুলে ফিরবে। কিন্তু তা আর হল না।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ইউনিয়নের দৈয়াপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশের জমি থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে। পরে থানায় গিয়ে লাশটি যে আশরাফুলেই তা শনাক্ত করে তার বাবা-মা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর রাতে সে বাড়িতে ফেরেনি। আজ সকালে দৈয়াপাড়া গ্রামবাসী রাস্তার পাশে জমির মধ্যে তার লাশ দেখতে পায়।
আশরাফুল তিতাস উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মো. আল আমিনের ছেলে।
ছেলের নিহতের বিষয়ে বাবা আল আমিন বলেন, আমার ছেলে আমার সাথে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাত এবং লেখাপড়া করত। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
নিহতের বিষয়ে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, স্কুলছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা পাঠানো হবে। এই হত্যারহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।