দীর্ঘ বন্ধে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ দখল করে স্ত্রীসহ বসবাস করছেন এক ব্যক্তি
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকার সুযোগে স্থানীয় এক প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস শুরু করে দিয়েছে এক পরিবার। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলটি খুলে দেওয়া হলেও দখলদার পরিবার দখল ছাড়েননি।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৭১ নং নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে সপরিবারে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন। করোনাকালে স্কুলটি বন্ধ থাকার সুযোগে তিনি ওই কক্ষে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে। জানা যায়, কিছু বেঞ্চ একত্রিত করে মোশারেফ হোসেন বানিয়েছেন দু'টি চৌকি। কিছু বেঞ্চ একত্রিত করে রেখেছেন গৃহস্থালীর মালামাল। রান্নার জন্যে বারান্দার এক কোনে চুলা বসানো হয়েছে। সেখানে তিনি ও তার স্ত্রী থাকছেন। ওই সময় বিদ্যালয়ের কর্মরত ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে স্কুলে পাওয়া যায়নি।
রুমের দখলদার মোশারেফ হোসেন (৪৫) জানান, তার দাদা বিদ্যালয়ের জমিদাতা। কিন্তু, তার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘর চেয়েছিলেন। তিনি ঘর দিতে না পেরে এখানে থাকতে দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মাঝি বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।'
সহকারী শিক্ষক জি এম হিলারী বলেন, 'প্রধান শিক্ষক ওই ব্যক্তিকে এখানে কয়েক মাস আগে থাকতে দিয়েছেন। শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে রাখা হয়েছে।'
আরেক শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, 'সম্প্রতি আংশিক স্কুল খোলা হয়েছে। পুরোপুরি খুললে এখানে ক্লাস বসাতে হবে।'
প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে।'
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, 'স্কুলের রুমে এভাবে থাকতে দেওয়া বিধিসম্মত নয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিগগির বিদ্যালয়ের রুমটি দখলমুক্ত করা হবে।