১২ বছরের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদেরও আনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এই পরিকল্পনার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সি সব শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিকে শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। এরপর আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রী সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানালেন।
টিকা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পদক্ষেপে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় চার কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজ বা তার বেশি টিকা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদে আশা প্রকাশ করেন।