১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:২১

প্রতিবাদী বলেই হেনস্তার শিকার পরীমনি: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

পরীমনি ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী  © ফাইল ছবি

ধর্ষণচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মাদক মামলায় বারবার রিমান্ডে নিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, পরীমনিকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। অন্যায়ভাবে তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এ কথা বলেন।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে।

পরীমনির ন্যায়বিচারের জন্য জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নিরব ভূমিকা আছে।… পরীমনির মত প্রতিভাবান অভিনেত্রীকে এই অপরাধে  বারবার রিমান্ডে নেওয়া উচিত হয়নি। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়ত আরও বিলম্বিত হত। পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত।

সমাজে নারীরা এখনও নিরাপত্তাহীন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা এবং অর্থের কাছে আত্মসমর্পণ একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে পণ্যে পরিণত করে। এ দেশেও তাই হচ্ছে। সমাজে সৃজনশীলতা ক্রমশ মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সভাপতি হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিচারের আগেই রায়ের মত স্টেটমেন্ট দিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে কারো ব্যক্তিগত সম্মানহানি করা উচিত নয়, যেমনটা চিত্রনায়িকা পরীমনির ক্ষেত্রে ঘটেছে।

“পরীমনির বাসায় মদ বা মাদক পাওয়ার অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তা তার বাসায় গেলো। কারা এর পৃষ্টপোষক। কাদের কারণে পরীমনির আজ এই অবস্থা। পিয়াসার বা মৌদের উত্থানের পিছনে কোন রাতের রাজারা বেনিফিশিয়ারি?”

তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখী করা হলে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে। তবে যারা নাটক, সিনেমা, মডেল বা অভিনয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিল্পী বনে গিয়ে অপকর্ম করে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি বাঙলা কলেজকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির তার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।