ফরিদপুরে ৫০টি স্কুলে বন্যার পানি; পাঠদান শুরু নিয়ে শঙ্কা
বন্যার কারণে ফরিদপুরের পাঁচটি উপজেলার অন্তত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে পাঁচ স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ও ৪৫টি মাঠ তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ওই স্কুলগুলোর মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পানিতে ডুবে আছে। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় সেখানে শেওলা জমে গেছে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও বন্যাকবলিত এসব অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পাঠদান প্রক্রিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মোট ১৫টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে সাতটি বিদ্যালয়ের ভেতরে এবং বাকি ৮টি বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি উঠেছে। সদরপুরে উঠেছে ১০টি বিদ্যালয়ে এবং ফরিদপুর সদরে একটি বিদ্যালয়সহ মোট ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠে পাঠদানের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলের কক্ষে পানি ঢুকেছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ১২ তারিখের আগেই স্কুলগুলোকে পাঠদান উপযোগী করার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, আমরা পানিবন্দি স্কুলগুলোর নিয়মিত খোঁজ রাখছি। বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্কুলগুলোতে পাঠদান শুরু করা যাবে।
এদিকে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধির প্রবণতা কমেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে।