খুলছে স্কুল-কলেজ, বাড়ছে উচ্ছ্বাস
৫৪৩ দিন বা এক বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর খুলছে স্কুল-কলেজ। ১২ই সেপ্টেম্বর রোববার খুলবে স্কুল-কলেজ। তবে শুরুতে পুরোদমে খুলছে না তা। চলতি ও পরবর্তী বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে আর বাকিরা করবে সপ্তাহে একদিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টম্বর থেকেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। স্কুল-কলেজগুলো খোলার জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
সিলেটের উইমেন্স মডেল কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা তারান্নুম নেওয়াজ বলেন, দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে আমাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। এ খবরে আমরা এতো উল্লাসিত যে ১২ তারিখের অপেক্ষায় যেন আর সইছে না।
মাইশা বলছেন, তাদের শিক্ষা জীবনে দীর্ঘ অবকাশ কিংবা ঘরোয়া পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় নিজেদের অভ্যস্ত করে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। মহামারীকালে এ পরিবেশে তাদের যেন দম বন্ধ হওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছে।
সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ আফজাল সিয়াম বলেন, স্কুল-কলেজ খুলছে এতে আমাদের আনন্দের শেষ নেই। আমরা আবার সেই চিরচেনা আঙ্গিনায় ফিরে যাবো। আমরা আমাদের ক্লাসরুমের আড্ডা খুব মিস করি।
নুরুল আলম আলমাস নামক এক অভিভাবক জানান, এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে আমি মনে করি ১৫ বছরের উপরের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিষ্ঠানে ফিরলে আরও ভালা হত। কারণ ইতিমধ্যে অনেক দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের যেন সেইরকম কোন অবস্থা না হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতিতে রংপুর অঞ্চলে এসএসসি পরীক্ষা প্রত্যাশী দুই লাখ ও বিভিন্ন শ্রেণির ৮ লাখের ওপর শিক্ষার্থীর মাঝে আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তবে বকেয়া বেতন নিয়ে অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে ৭১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এএসসি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনায় বন্ধের সময়ের বিভিন্ন ফি’র জন্য অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে।