ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত সেই পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে আটক
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দা সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে আটক করেছে।
আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে পরিদর্শক সোহেল আটক হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। হয়তো পরে বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের কথা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানাবে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন সোহেল রানা। গতকাল ও আজ তিনি থানায় আসেননি। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে থেকে জেনেছেন, তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফর হাতে আটক হয়েছেন। তবে এখনো তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
গুলশান ও বনানী থানার কর্মকর্তারা বলছেন, বিএসএফের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তি বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা।
জানা গেছে, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি। বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বোন ও ভগ্নিপতি চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগে সোহেল রানার বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।
পুলিশও বলেছে, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলার পর এই তিনজনই এখন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক।
মামলার বাদী বলছেন, বীথি আক্তার সোহেল রানার স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন। যদিও সোহেল রানা তা অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ বলছে, বীথি আক্তারকে নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, তা তদন্ত করে নিশ্চিত হবে তারা।
এক লাখ গ্রাহকের ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তাহেরুল ইসলাম বাদী হয়েছেন।
ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত।