ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেও কার্যকর হবে বঙ্গভ্যাক্স, অ্যানিমেল ট্রায়াল শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২৪ AM , আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২৪ AM
শুরু হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে গ্লোব বায়োটেকের তৈরী বঙ্গভ্যাক্স টিকার অ্যানিমেল ট্রায়াল। টিকাটি বানরের উপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ ট্রায়াল চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এরপর মাসের শেষের দিকে ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে টিকাটি প্রাণঘাতী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার প্রায় প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কার্যকরি ।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
কার্যকারিতা নিয়ে ড. মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টাসহ ১১টি ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় ছিল। আমরা এ ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইজ করে আমাদের ভ্যাকসিনের সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখেছি প্রতিটি ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে এ টিকা যদি বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সারা বিশ্বে ডেল্টা ধরনসহ করোনার যে মহামারি চলছে সেটা থেকে একমাত্র বঙ্গভ্যাক্সই পরিত্রাণ দিতে পারে।
তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এ ট্রায়াল শেষ হবে। আগামী মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই বিএমআরসিকে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।
ড. মহিউদ্দিন আরো বলেন, আমরা প্রথমে বানরে টিকার ট্রায়ালের জন্য বিদেশে চেষ্টা করেছি। ভারত বলছে জিটুজি পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য, তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বলছে, এমআরএনএ টিকার বানরে ওপর পরীক্ষার দরকার নাই। কিন্তু বিএমআরসি বলছে করা লাগবে। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বানর সংগ্রহ করেছি।
ট্রায়াল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বানরের ওপর ট্রায়াল হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে দেশের বিজ্ঞান গবেষণায় এক নতুন মাইলফলক। প্রাথমিক ফলাফলে ওই টিকাটি বানরে নিরাপদ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।