শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের দিনক্ষণ পেছালো
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। ওই দিন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। কবে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খোলা হবে তা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিকাল ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্কুল-কলেজ খোলার পর কী কী করণীয় হবে সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে, সেই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বৈঠকে আমরা তা উপস্থাপন করবো। এসব পরিকল্পনা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সব সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও খোলার পর দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও অনুসরণ পদ্ধতি প্রণয়ন, এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পর্যায়ের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মতামত দিয়েছে। বর্তমানে এ হার ১২ শতাংশে নেমেছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা ১০ শতাংশে নেমে যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশিদিন বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ রয়েছে, খুললেও করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। সেজন্য আগামী সপ্তাহের শুরুতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে বুধবার (আজ) আবারও উভয় মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।