নদীর বালিতে তলিয়ে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সায়েম
যশোর সদরের পালবাড়ি নওদা গ্রামের বিশ্বাস বাড়িমোড় রংঘর সংলগ্ন ভৈরব নদীতে গোসল করতে নেমে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নদীতে গোসল করতে নামার পর বালিতে তলিয়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার ভৈরব নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম সায়েম হুসাইন। সে এবার ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার পিতা মজিরুদ্দীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ডিপোতে সিভিলে চাকরি করেন। সে সুবাদে দীর্ঘ ৩/৪ বছর যাবত ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন নওদা গ্রামে ফয়সাল আহমেদের একতলা বাসায় ভাড়া রয়েছেন।
সায়েমের পিতা মজির উদ্দিন জানান, শুক্রবার দুপুরে তার ছেলে বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলছিলো। খেলা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে ৫ জন বন্ধুর সাথে ভৈরব নদীতে গোসল করতে নামে। সায়েম সাঁতার না জানায় ভৈরব নদীর বালিতে তলিয়ে যায়। বন্ধুরা তাকে তলিয়ে যেতে দেখে পালিয়ে যায়।
পরে দুপুর দেড় টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করতে বন্ধুদের বাড়িতে গেলে জানতে পারেন সায়েম নদীতে নেমে তলিয়ে গেছে আর ওঠেনি। পরে পরিবারের লোকজন নদী থেকে সায়েমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় ও ৯৯৯ ফোনকল পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসেন ১২ সদস্যের একটি টিম, নদী গভীর হওয়ায় খুলনা ডুবুরিকে খবর দেওয়া হয়েছে। খুলনা থেকে ডুবুরি আসতে সময় লাগবে শুনে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজে নেমে দীর্ঘ একঘন্টার চেষ্টার পর সায়েমকে ভৈরব নদীর গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করে আনেন।