বঙ্গবন্ধুকে জানা মানেই বাংলাদেশকে জানা: শিক্ষামন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে জানা মানে বাংলাদেশকে জানা, বঙ্গবন্ধুকে জানা মানে বাঙালির ইতিহাসকে জানা। তাই তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে হবে। তাঁর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইগুলো পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও তাঁর শিক্ষা দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুকে আরও বেশি জানতে হবে। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে রাষ্ট্রীয় নীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন আমরা ঠিক সেই বৈষম্যহীন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিচ্ছি।
আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, প্রত্যন্ত পাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেও তার প্রচন্ড ব্যক্তিত্ব এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি সারা জীবন নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় মানুষের পাশে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমি তরুণ প্রজন্মের কাছে আহবান করব জাতির পিতার জীবনী সম্পর্কে অধ্যায়ন করে যে প্রায়োগিক বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিজেদের জীবনেও সেটি বাস্তবায়ন করার।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন, জাতীয় শোক দিবস ২০২১ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইদ্রিস হাওলাদার, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড.আব্দুল কুদ্দুস শিকদার, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম রিয়াজ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ঢাকার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।