৩ মাস বন্ধ থাকবে পাবজি-ফ্রি ফায়ার, হাইকোর্টের আদেশে যা বলা হয়েছে
ইন্টারনেটভিত্তিক গেইম পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ গেইম লিংক দুটি বন্ধ করে দিয়েছে।
গত রোববার এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, রুলের শুনানি চলমান থাকায় পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের অনলাইন গেমগুলোর লিংক ও ইন্টারনেট গেটওয়ে আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখার নির্দশ দেওয়া হলো। বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্ধ হলো পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেইম
আজ বুধবার বিটিআরসির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি সব মোবাইল অপারেটর, আইআইজি অপারেটর, আইএসপি অপারেটরের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, মহাসচিব ও অন্যান্যদের কাছে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ক্ষতিকর অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিগো লাইভ ও লাইকির মত আরো যেসব ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ রয়েছে আমরা এগুলোর তালিকা করছি। শিগগির এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত আসবে।
গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সব ক্ষতিকর গেম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া সেইসঙ্গে এ ধরণের গেইম ও অ্যাপের মাধ্যমে কী পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা নিরুপণে এবং লেনদেনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ক্ষতিকর অনলাইন গেমস ও অ্যাপের বিষয়ে তদারকি এবং গাইডলাইন তৈরি করতে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার।