ফি মওকুফের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
করোনার বন্ধে সেশন ফিসহ সব ধরনের ফি মওকুফের দাবিতে বরিশাল সদর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সরকারি মহিলা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পর তারা অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে নিজ নিজ কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে সদররোডে এসে আকস্মিক সড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসময় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস হয়নি। অথচ হঠাৎ পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে কম। আবার কলেজ বন্ধ থাকলেও সেশন ফি, শিক্ষা সফর ফি, সেমিনার ফিসহ নানা ধরনের অযাচিত ফি নির্ধারণ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি ছাড়া কলেজ কর্তৃক সব ফি মওকুফের দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুম্মন ও সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
পাশাপাশি একই সময়ে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে সড়কের দুইপ্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মব্যস্ত মানুষরা। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে সদররোডে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হলেও বাসদ নেতারা প্রতিটি কর্মসূচির সামনে থাকছেন। প্রতিটি কলেজে বহু শিক্ষার্থী থাকেন, অথচ মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষার্থী গত কয়েকদিন ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেয়। বর্তমানে সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।