হাইতিতে ভয়াব্হ ভূমিকম্প: নিহত ছাড়াল ১৩০০, নিখোঁজ অসংখ্য
ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ ।
রয়টার্স জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংস্তুপ সরিয়ে জীবিতদের উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির পাটি ট্রু দ্য নেভাস শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়, স্থানটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার পশ্চিমে।
হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি দুই হাজার ৮৬৮টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচ হাজার ৪১০টি বাড়ি। এদিকে ভূমিকম্পে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি জনগণকে সংহতি দেখানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে আমরা অধিক ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পাঠাচ্ছি। আহতদের মধ্যে যাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন, আমরা তাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যককে সরিয়ে নিয়েছি। আমরা আজ এবং আগামীকাল আরও কিছু সরিয়ে নেব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে যতটা সম্ভব জীবিতদের উদ্ধার করা। আমরা জানতে পেরেছি যে স্থানীয় হাসপাতালগুলো, বিশেষ করে লেস কায়েসের হাসপাতালগুলোতে আহত, হাড়ভাঙা মানুষে ভরে গেছে।
এটি ১১ বছর আগে হাইতিতে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ও অগভীর। ২০১১ সালের ওই ভূমিকম্পে অঞ্চলটিতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ভেঙে পড়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর-ভবন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল। ভূকম্পন অনুভূত হওয়া হাইতির প্রতিবেশী দেশ কিউবার উত্তরে অবস্থিত গুয়ানতানামো শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘সবাই ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত। দীর্ঘদিন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ তার বাড়ি ভেঙে না পড়লেও আসবাবপত্র নড়েচড়ে গেছে বলে জানান তিনি।