১৫ আগস্ট ২০২১, ২৩:১৩

ইতিহাস বিকৃতকারীদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে হবে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভা  © সংগৃহীত

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন তা শোষিত মানুষের বাসযোগ্য ভূমির জন্য। শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতা জাতির জন্য যথেষ্ট পরিচয় নয়, মূল লক্ষ্য সাম্য-মৈত্রী-শান্তি ও প্রগতির জয়যাত্রা রচনা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সে আরাধ্য জয়যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনীতিতে আমাদের পরিশুদ্ধ হতে হবে।  

রবিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, যারা একদিন ইতিহাসের চাকাকে উল্টো পথে পরিচালনা করেছে ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করেছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যারা ভূলুণ্ঠিত করে পাকিস্তানি ভাবধারায় এদেশকে পরিচালনা করেছিল তারা আজও ঘাপটি মেরে আছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এবং ইতিহাস বিকৃতিকারীদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। কিছু ভুঁইফোড় সংগঠন আজ ডালপালা মেলেছে। এদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, কখনো কখনো শোক শক্তির উৎস হয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে পেরেছি বলেই বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং দাঁড়াবেই।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ।

সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সকাল ১০টায় হালিশহরস্থ বড়পোল মোড়ে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের ১০টি টিম ট্রাকযোগে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, শাহ আমানত (র.) শাহ দরগাহ, গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মাজার, ইসমাইল এতিমখানা, টাকশা (র.) মাজার, অপরাজেয়, উপলব্ধি, নজির শাহ, বাওয়া চিলড্রেন, মাদানি মসজিদ এবং প্রবর্তক সংঘে ৭ হজার রান্না করা খাবার প্যাকেট বিতরণ করে।