চট্টগ্রামের ১৫ স্পটে এডিসের লার্ভা

চট্টগ্রামের ১৫ স্পটে এডিসের লার্ভা
চট্টগ্রামের ১৫ স্পটে এডিসের লার্ভা  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করে হয়েছে। মশক নিধন ওষুধের কার্যকারিতা যাচাইয়ে গঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি গবেষক দল এ তথ্য জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরী ও ক্যাম্পাসের ৫৭ জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দলটি। পরে তা পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিস মশার উপস্থিতি নিশ্চিত হন তারা। তবে, চবি ক্যাম্পাসের আশেপাশের ছয়টি নমুনার কোনোটিতেই এডিস মিশার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এর আগে, মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।

এই প্রেক্ষিতে ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়াকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য।

দলের অন্যান্যরা হলেন- রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপসী রায় ঘোষ, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ. এম. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

বিভিন্ন এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি।

দলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মশার আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতায় কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ চালানো হয়।

তিনি বলেন, অনেকগুলো লার্ভা লালন-পালন করে এখন মশা হয়ে গেছে। মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা দেখছি। আগামী মঙ্গলবার রিপোর্টের ফল চসিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে। সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।