১৫ জুলাই ২০২১, ০৮:৩৬

১৫ দিন পর গণপরিবহন, দোকান-শপিংমল চালু

১৫ দিন পর গণপরিবহন, দোকান-শপিংমল চালু  © সংগৃহীত

ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল অবস্থা থাকবে। এই সময়ে সারা দেশে বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বসবে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে। তবে কড়াকড়িভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে দোকানপাট খোলার রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর শপিং মল বা মার্কেটসহ দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি। পাশাপাশি প্রজ্ঞাপনে লঞ্চ, ট্রেন ও বাস চালাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদে অন্যান্যবারের মতো সরকারি কর্মচারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবেন। ঈদের স্বাভাবিক ছুটি বাড়াতে পারবেন না। এর বাইরে গার্মেন্টসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁদের মতো ছুটি কাটাতে পারবেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। তবে সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চলাচলে সাধ্যমতো নিয়ন্ত্রণে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। সবাই নিজেদের ও তাঁদের পরিবারের কথা চিন্তা করে সেটি বিবেচনায় নেবেন বলে সরকার আশা করে।

তথ্য অধিদপ্তরের বিবরণীতে জানানো হয়, ঈদ উদযাপনে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে সামাজিক অনুষ্ঠান, যেমন-বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে। এ ছাড়া কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে এই সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

কোরবানির পশুর হাট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার তাপ মাপার জন্য যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি, বেসিন ও জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে। অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।