১৩ জুলাই ২০২১, ২৩:০৬

বিয়ে রুখতে স্কুলছাত্রীর এসএমএস, দায়িত্ব নিলেন আসাদুজ্জামান নূর

ইউএনও জেসমিন নাহারের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠায়  © সংগৃহীত

নীলফামারীর সদর উপজেলায় বাবা-মায়ের বিয়ে দেওয়া চেষ্টা রুখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো স্কুলছাত্রীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক  সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকালে তার পরিবারের কাছে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের ছাত্রীটির লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণের বার্তা পৌঁছেন দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান।

দশম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আকতার (১৫) নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যান্দী গ্রামের সুলতান আলী ও আফরোজা দম্পতির মেয়ে।

আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াদুদ রহমান জানান, বাল্যবিয়ের খবরে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর মেয়েটির লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীও দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আয়োজন করে তার বাবা-মা। এ বিয়ে ঠেকাতে মেয়েটি সেদিন দুপুরে সদর ইউএনও জেসমিন নাহারের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠায়।

ক্ষুদেবার্তায় হাবিবা লেখে, আমি এবার দশম শ্রেণিতে পড়ি, আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে আজ রাতে। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার জীবনটাকে রক্ষা করুন। হাতজোড় করছি।

হাবিবার অনুরোধে তাৎক্ষণিক তার বাড়িতে যান ইউএনও জেসমিন নাহার। তার সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শান্তনা চক্রবর্তী।

তাদের বাল্য বিয়ের কুফল এবং এর শাস্তি  বিষয়ে অবগত করলে বাল্যবিয়ে দেওয়া থেকে পিছিয়ে যান ছাত্রীটির বাবা-মা।

ইউএনও জেসমিন নাহার বলেন, সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর ক্ষুদেবার্তা পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজনের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি।

বাল্যবিয়ের কুফল এবং এই বিয়ের আয়োজনে শাস্তি সম্পর্কে বোঝানোর পর হাবিবাকে বাল্য বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দেন বাবা সুলতান আলী ও মা আফরোজা বেগম বলেন তিনি।