১২ জুলাই ২০২১, ১০:০২

লকডাউন শিথিলের ঘোষণা আসছে

লকডাউন শিথিলের ঘোষণা আসছে  © সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান করোনা বিধি-নিষেধে কিছুটা শিথিলতা আনতে যাচ্ছে সরকার। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুরহাট বসানো, শপিংমল খুলে দেওয়া এবং সিটি করপোরেশন ও জেলার ভেতর বাস চলার অনুমতি দেওয়া হবে। ১৪ জুলাই থেকে এই শিথিলতা কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবারের ঈদ আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কাছে অনেক ধরনের পরামর্শই আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা মিটিং করব। কোভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ নেব। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘ঈদে মধ্যে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে। এবার ৭৫ শতাংশ পশু ডিজিটালি বিক্রির চেষ্টা করা হবে। এর সঙ্গে হাট তো থাকতেই হবে। কারণ, সমাজের সব ধরনের মানুষের তো আর ডিজিটাল অ্যাকসেস নেই।’

এদিকে, দেশের আকাশে রবিবার (১১ জুলাই) পবিত্র জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় চলমান বিধি-নিষেধ শেষে ঈদের সপ্তাহটিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

সরকারি সূত্র বলছে, আগামী ১৪ জুলাই শেষ হচ্ছে দুই সপ্তাহের চলমান বিধি-নিষেধ। এই দুই সপ্তাহের ফলাফল দেখেই মূলত ঈদ সামনে রেখে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় বিধি-নিষেধের শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। আর ঈদের পর আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ দেওয়া হতে পারে।

আসন্ন ঈদ সামনে রেখে চলমান বিধি-নিষেধের বিষয়ে আজ সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে জানিয়ে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, পরদিন মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এসব নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কেউ যাতে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন এবারও সে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে। কারণ, গত ঈদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। মানুষ দলে দলে বাড়ি যাওয়ায় গ্রামে করোনা ছড়িয়ে গেছে। গ্রাম এখন আর নিরাপদ নয়। অনেকগুলো বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য যেমন করেই হোক করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।’

করোনা পরিস্থিতির উপর ঈদ সামনে রেখে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ঈদ উপলক্ষে চলমান বিধি-নিষেধে শিথিলতা আসবে কিনা- জানতে চাইলে সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি যারা আছেন, তাদের পরামর্শে সরকার যদি মনে করে বিধি-নিষেধ এগিয়ে (বাড়ানো) নেওয়ার ব্যাপারে সেটিও হতে পারে। সবকিছুই এখন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। একটা কথা বারবার বলেছি আমাদের জীবনে ঈদ অনেকবার আসবে যদি আমরা বেঁচে থাকি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বের হতেই বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে, সেটি সবার মানা উচিত।

ঈদে গণপরিবহন চালু হবে কিনা- সে প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধি-নিষেধ চলমান থাকলে গণপরিবহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। আর বিধিনিষেধ যদি প্রত্যাহার হয় সেটা কীভাবে প্রত্যাহার হবে, যদি সীমিত আকারে হয় সীমিত আকারেই চলবে। যদি পুরোপুরি উঠে যায় পুরোপুরিই চলবে। আমার মনে হয় যে পরিস্থিতি আছে সেখানে আমাদের পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি।